একগুচ্ছ নির্দেশিকা। রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান জানিয়ে দিলেন বর্তমান পরিস্থিতিতে কী করণীয়, কী নয়। বৃহস্পতিবার নবান্ন থেকে সাংবাদিক বৈঠক করেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। শুরুতেই জানান, সরকার সবসময়, সবরকমভাবে সাধারণ মানুষের পাশে রয়েছে। বলেন, মানুষের যাতে কোনও অসুবিধে না হয়, সেদিকে লক্ষ্য রাখাই দায়িত্ব। সঙ্গেই বলেন এবছরের বাজার দরের পাশাপাশি এখন থেকে ঠিক করে নিতে হবে আগামী বছরের বাজার দর পরিকল্পনা।
এদিন মমতা সাফ জানান, দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে যেন আনাজ, নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের কালোবাজারি না হয়। বলেন, ‘দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে কালোবাজারি করে কেউ যেন দাম না বাড়ায়। কেন যেন হোডিং করবার চেষ্টা না করে। বর্ডার দিয়ে বেশি টাকা পাব বলে অন্য জায়গায় উপাদান সরবরাহ না করে।‘ সীমান্তের উপর কড়া নজরদারির নির্দেশ দেন।
রাজ্যের সবজির দাম নিয়েও এদিন আলোচনা পর্যালোচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী। সবজির বাজার দর, সুফল বাংলার দাম তুলে ধরেন। চাষিরা কোন চাষে কতটা সুফল পেয়েছেন সেকথা উল্লেখ করে তথ্য তুলে ধরে।
তথ্য তুলে ধরে মুখ্যমন্ত্রী এদিন বলেন–
রাজ্যের ৫১৮ হিমঘরে যে পরিমাণ আলু রয়েছে, প্রয়োজনের চেয়ে যোগান বেশি। তাছাড়া মজুদ রয়েছে সুফল বাংলায়।
রাজ্যে চলতি বছরে তৈরি হয়েছে ১৪০০ পেঁয়াজ গোলা। মোট ৫৪০০ গোলায় মজুদ রয়েছে পেঁয়াজ। চলতি বছরে আরও ১৩০০ পেঁয়াজ গোলা নির্মানের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
ইলিশ রিসার্চ সেন্টারের পর থেকে রাজ্যে ইলিশ পাওয়া যায় সহজে।
মুরগির মাংসের দাম বেশি রাজ্যে।
বাজারে নিয়ে আসতে হবে হাঁসের মাংস।
রাজ্যে কমাতে হবে মাছ–মাংসের দাম।
খাবার নিজস্ব অধিকার, বাজারে আনতে হবে ভ্যারাইটি।
তৈরি হবে আরও সুফল বাংলার দোকান। সাধারণের সুবিধার্থে ভাগ করা হবে জেলায় জেলায়।
টাস্ক ফোর্স নিয়মিত নজরদারি চালাবে, যাতে কোনও কালোবাজারি না হয়। করলে তাঁর সব জিনিস সরকার বাজেয়াপ্ত করবে।
নজর রাখতে হবে মিউনিসিপ্যালিটি মার্কেটগুলিতে।
দেখতে হবে মানুষ কিসে সুবিধা পাচ্ছে।
নিয়মিত নজর রাখা হবে বাজারে।
এখানে কোনও সমস্যা নেই, পরিস্থিতি বিচারে প্রয়োজন হলে বৈঠক হবে আবার।
দেশ নিজেদের ঘর বাড়ি মনে করে লক্ষ্য রাখুন।