বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরামের (বিএমএসএফ) ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান আহমেদ আবু জাফর বলেছেন, ‘গণমাধ্যম অঙ্গনে রাজনৈতিক হিংসাত্মক নৈরাজ্য ও দুর্বৃত্তায়ন অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে।’ তিনি বলেন, ‘সাংবাদিকদের নিরাপত্তা, স্বাধীনতা ও মর্যাদা নিশ্চিত না হলে গণতন্ত্র দুর্বল হয়ে পড়ে এবং রাষ্ট্রে সুশাসন প্রতিষ্ঠা সম্ভব হয় না।’ সোমবার (২ জুন) গণমাধ্যমে পাঠানো এক প্রেস বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।
আবু জাফর বলেন, ‘গণতন্ত্র ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতার মৌলিক চেতনা রক্ষায় সাংবাদিকদের জন্য নিরাপদ, স্বাধীন ও নিরপেক্ষভাবে কাজ করার পরিবেশ নিশ্চিত করা এখন সময়ের দাবি।
রাজনৈতিক স্বার্থে সংবাদপত্র ও সাংবাদিকদের ওপর হামলা, মামলা, ভয়ভীতি প্রদর্শন কিংবা চাপ প্রয়োগ কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।’
তিনি আরো বলেন, ‘রাজনৈতিক দলের কিছু দুর্বৃত্তচক্র ইতোমধ্যে দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মিডিয়া হাউজ দখল, প্রেস ক্লাব তালাবদ্ধ, লুটপাট ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটিয়েছে। সাংবাদিকদের চাকরিচ্যুতি এবং মিথ্যা মামলায় জড়ানোসহ হয়রানির অতীতের সব রেকর্ড আজ ভেঙে গেছে।’
বিএমএসএফ জানায়, সর্বশেষ রাজনৈতিক দলের লোকেরা উত্তেজনা সৃষ্টি করে প্রশাসনকে ব্যবহার করে পঞ্চগড় প্রেসক্লাব সিলগালা করে দিয়েছে।
সেখানে অনির্দিষ্টকালের জন্য ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। একই ধরনের ঘটনা ঘটেছে ফেনী, তেঁতুলিয়া, ভোলা, নওগাঁসহ দেশের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলায়। এসব জায়গায় সাংবাদিকরা চরম অনৈক্য ও নিরাপত্তাহীনতায় দিন পার করছেন।
আহমেদ আবু জাফর বলেন, ‘সংবাদপত্র ও সাংবাদিকদের স্বাধীনতা ক্ষুণ্ণ হলে শুধু গণতন্ত্রই নয়, সমাজের জবাবদিহিতা, উন্নয়ন, ন্যায়বিচারও হুমকির মুখে পড়ে।
এতে দুর্নীতি বাড়ে, নৈরাজ্য ছড়ায় এবং দারিদ্র্য আরও ঘনীভূত হয়।’
তিনি রাজনৈতিক সংশ্লিষ্ট মহলের প্রতি আহ্বান জানান, ‘সাংবাদিকদের প্রতি আস্থা রাখুন, হুমকি ও ভয়ভীতি থেকে বিরত থাকুন এবং সংবাদমাধ্যমকে স্বাধীনভাবে কাজ করার সুযোগ দিন।’
একই সঙ্গে তিনি পবিত্র ঈদ উল আজহার আত্মত্যাগের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে সকল রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দকে আন্তরিক হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, হানাহানি বন্ধে রাজনৈতিক দলের পাশাপাশি পেশাজীবী মানুষের সমন্বয়ে একটি বাসযোগ্য বাংলাদেশ গঠনে সকলকে এগিয়ে আসা উচিত।
বিবৃতিতে দেশের সাংবাদিক সমাজকে পেশার মর্যাদা, দাবি ও অধিকার আদায়ে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘যে কোনো রাজনৈতিক চাপ ও হুমকির বিরুদ্ধে সাংবাদিকদের রাষ্ট্রের পক্ষে, গণমানুষের স্বার্থে এক কণ্ঠে ঐক্যবদ্ধ হয়ে দাঁড়াতে হবে। মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও গণমাধ্যমের নিরপেক্ষতা হরণ করতে দেওয়া যাবেনা।