বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে হাটহাজারীর আল জামিয়াতুল আহলিয়া দারুল উলুম মইনুল ইসলাম মাদ্রাসা পরিদর্শনে গেছেন দলটির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান ও সালাহউদ্দিন আহমদ।
শুক্রবার (১ আগস্ট) দুপুরে চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে আল জামিয়াতুল আহলিয়া দারুল উলুম মইনুল ইসলাম মাদ্রাসায় সাবেক হেফাজত আমির আল্লামা শাহ আহমদ শফী ও আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরীর কবর জিয়ারত শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।
নজরুল ইসলাম বলেন, মাদ্রাসার দায়িত্বশীলদের সঙ্গে আমাদের সাক্ষাৎ হয়েছে। অতীতে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় তাঁদের ভূমিকা আপনাদের জানা আছে। বিএনপির নেতৃত্বে ১৬ বছর ধরে চলা আন্দোলনে সবচেয়ে বেশি শহীদ হয়েছেন, সবচেয়ে বেশি বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, মামলা ও হামলার শিকার হয়েছেন বিএনপি নেতাকর্মীরা। তবুও সবাইকে সঙ্গে নিয়ে আমরা লড়াই চালিয়ে গেছি।
তিনি আরও বলেন, এই দাবিকে সামনে রেখে আলোচনা চলছে। গঠিত হয়েছে একটি ঐক্যবদ্ধ সংস্কার কমিশন। বিএনপির পক্ষ থেকে সেখানে জনাব সালাউদ্দিন আহমেদসহ কয়েকজন প্রতিনিধি কাজ করছেন। ‘জুলাই সনদ’-এর খসড়ায় দলের পক্ষ থেকে মতামতও দেওয়া হয়েছে। আশা করি, এটি শিগগিরই প্রকাশিত হবে।
নজরুল ইসলাম খান বলেন, আমরা ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হওয়ার পথে কোনো বাধা দেখছি না। তাই এটি হবে না—এমন দুশ্চিন্তার কোনো কারণ নেই। আমরা আশা করি, সরকার শিগগিরই তাদের অবস্থান জানাবে এবং নির্বাচন কমিশনকেও প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেবে। কারণ, নির্বাচনের মাধ্যমেই একটি দায়বদ্ধ ও জবাবদিহিমূলক সরকার গঠন সম্ভব। না হলে হাজারো শহীদ ও নিপীড়িত মানুষের আকাঙ্ক্ষা অপূর্ণ থেকে যাবে।
হাটহাজারী মাদ্রাসার নেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আগামী দিনে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পেলে আমাদের সবার পরামর্শ ও সহযোগিতা নিয়ে কাজ করতে হবে। আপনাদের দোয়া ও সহযোগিতা চাই, যাতে করে হাজারো শহীদ, লাখো নিপীড়িত ও মজলুম মানুষের আকাঙ্ক্ষা পূরণ করতে পারি। ২০১৩ সালে হেফাজতের ডাকে যারা শহীদ ও আহত হয়েছেন, তাঁদের প্রত্যাশাও যেন আমরা বাস্তবায়ন করতে পারি।
তিনি আরও বলেন, বিএনপিকে বারবার গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার দায়িত্ব নিতে হয়েছে। বাকশালের পর বিএনপির হাত ধরেই গণতন্ত্র ফিরে এসেছে। এরশাদের স্বৈরশাসনের অবসানেও বিএনপির ভূমিকা ছিল অগ্রণী। এবারও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে নেতৃত্ব দিচ্ছে বিএনপি।
এসময় সঙ্গে ছিলেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন আহমদ।
তারা মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।







